ঘুনে ধরা সমাজের নষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি - ট্রান্সজেন্ডারদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস
March 15, 2022
My Life
17 Comments
আজ ভরা পূর্ণিমার আলো লুটিয়ে পরেছে আমার ব্যলকনিতে। জ্যোৎস্নার আলো আমাকে অকারন বাঁধভাঙ্গা খুশিতে আন্দোলিত করে সবসময়ই । খোলা বারান্দায় রুপোলী আলোয় স্নাত হয়ে , খানিক পরপর কফির পেয়ালায় চুমুক আর প্লেলিস্টে একের পর এক সুরের মূর্ছনায় কখন যে ক্লায়েন্টের কাজের নেশায় বুঁদ হয়ে যাই নিজেও জানিনা।
একাডেমিক্যালি ব্রিলিয়ান্ট কিন্তু মন্দভাগ্, ট্রান্সজেন্ডার মিথুন ।এই একপেশে সমাজ ব্যবস্থার কাছে অসহায় আত্ন সমর্পিত হয়ে সুইসাইড করে না ফেরার দেশে চলে গেছে , সে। বছরের পর বছর ধরে এই পচা গলা সমাজে মিথুনদের মত ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি হয়ে যাওয়া বঞ্চনা, অন্যায় - অবিচার , শারীরিক/ মানসিক নির্যাতন দেখেও কিছু করতে না পারার হতাশা,রাগ, ক্ষোভ, ঘেন্না, আক্রোশ আজ সব ঘোঁট বাঁধিয়ে বুকের কাছটায় দলা পাঁকিয়ে উঠছে।
ডিসঅর্ডার অফ সেক্স ডেভেলপমেন্ট বা জন্মগত ত্রুটির জন্য আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগা, বারংবার পোস্ট সার্জারির অসহনীয় ব্যথা, ছেলে হয়েও মেয়েলী আচরন প্রকাশ পেতো তাই স্কুল/কলেজ/ ইউনিভার্সিটিতে/ বন্ধুদের আড্ডায় , সামাজিক অনুষ্ঠানে তামাশার বস্তুতে পরিনত হওয়ায় নিজেকে আইসোলেটেড রাখতো ছেলেটা,একসময় গভীর ডিপ্রেশন, ইনফেরিওর কমপ্লেক্স এ ভুগতো ছেলেটা।
এই Rat Race এর জীবনে আমরা শুধু সামনের দিকে ছুটতে থাকি। সোসাইটি থেকে সব সুবিধা পেয়ে এই তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশে, আমাদের আসলে কখনোই একজন থার্ড জেন্ডারের ন্যুনতম মানবাধিকার নিয়ে ভাবার অবকাশ হয়না। আমাদের দু'দন্ড ফুরসত হয়না তাদের একটু স্পেস করে দিতে, মনের কথা কইবার জন্য।জন্মাবধি যে ভয়াবহ মানসিক দহন তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে , সেখানেই বসবাসের জন্য আমরা তাদের একা ছেড়ে দেই, হায়
!
মিথুনের ডায়েরী ............................................................
নিজেকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হোত।একদিন অন্যরাও আমাকে ভিন গ্রহের মানুষ মনে করে।ভীষণ ভয় পেয়ে যাই, মনে হয় মাথার ওপর বাজ ভেঙ্গে পরবে ! আমি মিথুন , জন্মই যার আজন্ম পাপ, আমি ইন্টারসেক্স বা উভলিঙ্গ , এজন্যই আমি অন্যদের থেকে আলাদা। ছোটবেলায় আমার বাবা মাকে বলা হয়েছিলো তারা যেনো আমাকে একজন মেয়ের মত বড় করে তোলেন। তাদের বলা হোত, আমি একজন মেয়ে। আমি যে আলাদা এজন্য তারা যেনো আমার সাথে কথাই না বলেন।
আমি অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে জন্মেছি। আমার পুরুষাঙ্গ ছিলো আবার যোনি ও ছিলো । এমনকি শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয় দুটোই ছিলো।
ডাক্তার রাও বিভাজিত হয়ে গিয়েছিলেন, তারা আমার বাবা মাকেও ভয় দেখিয়েছিলেন। তারা বলেছিলো এই রোগ থেকে আমরা আপনার সন্তানকে রক্ষা করতে পারি কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেকগুলো সার্জারি করে শুক্রাশয় বাদ দিতে হবে আর শিশ্ন কেটে ফেলতে হবে। সারাজীবন ধরে আমি কস্ট পেয়েছি, কারন , আমি ডাক্তারদের চিকিৎসার উপরে নির্ভর করতে চেয়েছি।
আমি নিজেকে বিচ্ছিন্ন ও কিম্ভূতকিমাকার মনে করতাম। আমি পুরোপুরিভাবে মেয়ে ছিলাম না আবার ছেলেও না। আমি মনে করি সমাজ এ ব্যাপারে খুব কঠোর।আপনি যদি পুরুষ হন তাহলে পুরুষের অধিকার ফলাতে পারবেন। আর নারী হলে সেক্ষেত্রে ও নিজেকে নারী মনে করবেন এবং নারীর মত বাঁচতে পারবেন।
কিন্তু ইন্টারসেক্স দের যেনো সে অধিকার ও নেই !
অথচ , তাদের ও তো মানবাধিকার আছে ! তাদের ও তো নিজেদের মতো বাঁচার অধিকার আছে ! কিন্তু, কেন আমরা বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারিনা !
ধরুন আপনার খুব কাছের বন্ধু/বড়ভাই বা ছোটভাই যে তৃতীয় লিঙ্গের ছিলো আপনি তা জানতেন না। অথচ, লেখাপড়া করার সময় আপনি একই হলের, একই রুমে এমনকি একই বেডে শুয়েছেন।
যখন জানবেন, তখন আপনি নিজেকে নিজে ঘৃণা করবেন এবং মুখরোচক গল্প বলা শুরু করবেন যে, 'এজন্যই ও আমাকে ব্যাড টাচ করার চেষ্টা করছিলো, রাতের বেলায় গায়ে হাত-পা তুলে দিতো, চুমা দিয়েছে কয়েকবার' যার কোনটাই সত্য নয়।
আপনাদের কাছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ মানেই হচ্ছে সম্পূর্ণ কামুক ও ব্যক্তিত্বহীন মানুষ, কেবলই হাসির খোরাক এবং যাকে ইচ্ছে করলেই সেক্সুয়াল ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
সব শিক্ষিত হিজড়াই তাদের সত্যিকার পরিচয় সমাজে তুলে ধরতে ভয় পায় ! স্কুলে পড়ার সময় পরিবার থেকে তাদের যেভাবে সেজে থাকতে বাধ্য করা হয় তারা সেভাবেই সেজে থাকে। বেশিরভাগ হিজড়াই স্কুলের গন্ডী পার হতে পারেনা !
যা ও দুই একজন পরিচয় গোপন করে আপনাদের সাধারণ মানুষের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে তারা হয় আপনাদের হাসির খোরাক হয় নাহয় হয় আপনাদের বুলিং করার বস্তু।
আর এই বুলিং এর জন্য তারা ক্লাসবিমুখ হয়ে পড়ে, রেজাল্ট খারাপ করে। আমার খাতিরেও এমনটাই ঘটেছিলো। আর আমি একারণেই নিজের লিঙ্গপরিচয় গোপন রেখেছিলাম এতোদিন।
আজকের পর থেকে আমাকে নিয়ে অনেক মুখরোচক গল্প ছড়াবে, অনেকেই আমাকে এড়িয়ে চলবে, যারা এতোদিন বলে এসেছে আমাকে শ্রদ্ধা করে তারা শ্রদ্ধাবোধ হারাবে।
এসব কিছু সয়ে গেলেও কষ্ট পেয়েছিলাম এটা ভেবে যে … ….. …. একজন শিক্ষক, তিনি আসলে কি শিক্ষা দিচ্ছেন তার শিক্ষার্থীদের আমার প্রশ্ন জাগে। এবং তার পোস্টে কমেন্ট করেছে, হাসাহাসি করেছে আমারই ক্যাম্পাসের কাছের সিনিয়র এবং জুনিয়র।
নিজেদের …….. দাবী করা এক ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং করার সময় সেখানকার ইনস্ট্রাকটররা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন। দয়া হতো তাদের প্রতি।
একজন ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর আমার এক ব্যাচমেটের কাছে দাবি করেছিলেন যে আমি তার সাথে সেক্সুয়াল রিলেশনে যেতে ইনিয়ে বিনিয়ে তাকে প্রস্তাব করেছিলাম।
আবার এই প্রতিষ্ঠানের কিছু অপকর্ম নিয়ে কথা বললে আমাকে গে দাবি করে আমার হাটাচলা, কথা বলার ধরন নিয়ে ৪০ মিনিটের একটা ক্লাস নেয়া হয়েছিলো আমাকে নিয়ে সি সেকশনে।
বলা হয়েছে আমি নাকি ট্রেইনি ছেলেদেরকে হ্যারাস করতাম।
আমার সাথে যখন কোন জুনিয়র দৌড়ে এসে ছবি তুলতে চাই আমি তখন বুঝতে পারি যে আমার ছবিটা দেখিয়ে সে বা তার গ্রুপে সবাই মিলে হাসিঠাট্টা করার জন্যই তুলেছে। আমি কষ্ট পাইনা। কাউকে হাসাতেতো পারলাম, এটা ভেবেই আনন্দিত হই।
গতবার যখন সারা শরীর ফুলে গেলে বড় তিনটা অপারেশন করতে হলো পেছন খোলা নর্মাল একটা কাপড় পরে ঘুমের ওষুধ নিয়ে আমাকে শুয়ে থাকতে হয়েছিলো ৩৬ টা দিন।
এসময় আমাকে দেখভাল করতে থাকা একজন আমার নগ্ন শরীরের ছবি তুলেছিলো এবং সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আমাকে কয়েকবার ধর্ষণ করেছিলো।
হয়তো আমাকে এখানে মানায় না, আমার অবস্থান হওয়ার কথা ছিলো হিজড়া ডেড়ায়। কেউ থুকে দেবে, কেউ আবসালা দেবে এর ভেতরই জীবনটা হয়তো সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ ছিলো।
হয়তো এই ভদ্র মানুষের সমাজ আমার জন্য নয়।
কিন্তু, নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। তৃতীয় লিঙ্গের সবাই মানুষ। তাদের সাথে কুকুরের মতো ব্যবহার আপনারাই করেন।
ব্যক্তিত্ব আমাদেরও আছে। আমাদের ব্যক্তিত্বহীন করেন আপনারা।
এবার যারা আমাকে আনফ্রেন্ড করতে চান করতে পারেন, গালি দিতে চান দিতে পারেন, অপমান করতে চায়লে তাও পারেন। আমি অভ্যস্ত। তবে, তোমার/আপনার প্রতি আমার সিমপ্যাথি কাজ করে কথাটা বলবেন না।
আপনার সিমপ্যাথি বা দয়ার কোন দরকার আমার নেই। আপনি যে পথ পাড়ি দিয়েছেন আমিও সেই একই পথ পাড়ি দিয়েছি।
তবে, আপনার পথে ফুল বিছানো থাকলেও আমার পথে বিছানো ছিলো জ্বলন্ত কয়লা।
কাজেই আমি মিউচুয়াল রেস্পেক্ট আশা করবো, সিম্প্যাথি নয়। আর একারণেই সবসময়ই একটা ফেইক হাসি মুখে রেখে দু:খ কিছু আছে কিনা তা কাউকে বুঝতে দিইনা।
বর্ণহীন সমাজ :-
আমরা কি এই সমাজে নিশ্চিত করতে পেরেছি হিজড়াদের সমানাধিকার?
হিজড়া পরিচয়ে কোনো শিশু কি আজো স্কুলে যেতে পারবে?
কোনো পরিবার কি আজো তার সন্তানকে হিজড়া হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেবে?
না। পারবে না। দেবে না। দেয় না। এই যে লোকলজ্জার সংস্কৃতি এটি নিয়ে ভাবতে হবে। নিন্দা আর লজ্জা জারি রাখার সমাজ না পাল্টালে একটি হিজড়া কিশোর ভয়-লজ্জা- আড়ষ্টতা ও হীনমন্যতা নিয়ে বড় হয়। নিজেকে ছেলে বা মেয়ে বলে সমাজে একটা ছদ্ম পরিচয় দিয়ে সে যখন বেড়ে উঠবে তখন তার মনের মধ্যে জমা হবে ক্লেদ, দুঃখ ও বঞ্চনার। ফলে, সে কিছুতেই নিজেকে মূল জনস্রোতের অংশ মনে করবে না। লোকলজ্জার ভয়ে একটা সময়ে পরিবারও হিজড়া সন্তানকে 'দায়' মনে করে। অতএব পরিবার থেকে পালিয়েই যেনো মুক্তি।
নির্ভার হয়ে বাঁচতে হিজড়ারা খুঁজে নেয় আলাদা সমাজ। নেয় গুরু মায়ের কাছে দীক্ষা। রপ্ত করতে থাকে হাতে তালি বাজিয়ে, কোমর দুলিয়ে, মুখে কড়া মেকআপ মেখে নাচা-গানার তালিম। অর্থাৎ, বেঁচে থাকার তাগিদে অনেকটা বাধ্য হয়েই হিজড়ারা নামেন যৌনকর্ম ও চাঁদাবাজির পেশায়। মিথুন সেদিক দিয়ে ভাগ্যবান ছিলো তাঁকে ওপেশায় নেমে হিজড়া দলগোষ্ঠীর মধ্যে হারিয়ে যেতে দেয়া হয়নি।। জনরোষ উপেক্ষা করেও ওকে উচ্চশিক্ষায় পরিপূর্ণ সহায়তা করে ওর পরিবার, কিন্তু, শেষ রক্ষাটা আর হোলনা !
আইডেন্টিটি ক্রাইসিস :-
একেতো ছেলে মানুষের ভান ধরে থাকা হিজড়া, তারোপর আবার একটা প্রেমও হয়েছিলো মিথুনের। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় মিথুন একবার গ্যাং বুলিং ও ফিজিক্যাল হ্যারাসমেন্টের স্বীকার হলে ওকে সেইভ করেছিলো ছেলেটা। দীর্ঘ আট বছরের রিলেশনশিপ ছিলো ওদের।
অতনু খুব সাপোর্ট দিত ওকে সবসময়, জোড়া হংসমিথুনের মতই পারফেক্ট কাপল ছিলো ওরা যেনো ! দুই পরিবারের সিদ্ধান্ত ছিলো যে, মিথুন অপারেশন করিয়ে মেয়ে হয়ে যাবে এবং ওরা বিয়ে করবে। ডেট ঠিক হয়েছিলো দু'মাস আগে।
৮ বছরের সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে যখন মিথুন আবার ছুড়ি-কাচির নিচে গেলো, অসহ্য যন্ত্রণার শিকার হোল এবং সেই অপারেশনের কারণে ওর কোলন ক্যান্সার হলো ঠিক তখনই একজন হিজড়া ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে কিভাবে সংসার করবে, লোকে কি বলবে সেটা ভেবে অতনু অন্যত্র বিয়ে করলেন।
কিন্তু, বিয়ের পূর্বে মিথুনেরতো একটা অলিখিত সেক্সুয়্যাল আইডেন্টিটি ছিলো তাও অতনু মুছে দিয়ে গেলেন। কারন, ওর তখনো ব্রেস্ট, ভোকাল আর ফেস ফেমিনাইজেশন (ফিলার দিয়ে) সার্জারি বাকি রয়ে গেছিলো ! সবখানে ওর আইডেন্টিটি 'মেইল' উল্লেখ করা থাকলেও পরে ও নিজেই ডিফাইন করতে পারতোনা ও আসলে কি।
জানিনা, ছেলে না মেয়ে এই দ্বৈত সত্ত্বা থেকে মুক্তি পেতেই অভিমান করেই নীরবে চলে গেলো সে? কখনোই জানা হবেনা !
17 Comments
ঝিলিক রুমানা 19 Mar 2022
পত্রিকায় এই ছেলেটার আত্নহত্যার খবরটা আমিও পরেছি । তখন থেকেই মন ভারাক্রান্ত !
Kamrul Hsan 30 Mar 2022
so relatable
Wahid 07 Apr 2022
asholei amader deshe hizrader kono mollu nei 🙈
আবু আশবাফুল 16 May 2022
আমি বুঝলাম না আগেই তো ভালো ছিলো, উনি ট্রান্সজেন্ডার হতে গিয়েছিলো কেন? আরেকজন কে বিয়ে করবার আশায়? বেঘোরে এখন মরতে হোল! স্রস্টা যেভাবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তাই মেনে নেয়া উচিৎ।
আরা আরিফা 28 May 2022
আমাদের সমাজকে আরো অনেক এগিয়ে যেতে হবে, দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে।😽
সালেক ফরহাদ 09 Aug 2022
আত্নহত্যা মহাপাপ।
নাজমুল 14 Sep 2022
যাই ঘটুক না কেন , উনি একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে এভাবে নিজেকে হত্যা করতে পারেন না !
আহসান 17 Oct 2022
ধর্মীয় জানার অভাবের কারনেই মানুষ পথভ্রষ্ট হয় !
মিমি 30 Oct 2022
মিথুনের ডায়েরীটা এভাবে ব্লগে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার জন্য আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
রিক্তা ফাতেমা 17 Nov 2022
আপনার সব পোস্ট আমি নিয়মিত পড়ি, আপনি সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে আর সাহসী। এগিয়ে যান, পাশে আছি।
মামুন 27 Nov 2022
সরকারের উচিৎ হিজড়া কম্যুনিটির জন্য কিছু করা, ওরা খুবি অবহেলিত।
মারিয়া নুসরাত 18 Jan 2023
ছিঃ একজন নারী হয়ে কি করে এমন সব পোস্ট লিখলেন 🙈
Mazid haoladar 02 May 2023
খ**** মাগির বাচ্চা তোর মারে চ*** তুই খ**** বহুত সিয়ান তোর মারে চ*** খ**** তোর কয়টা বেডা বেডি লাগে তোরে হাতের নাগালে পাইলে জবাই দিয়া তোর মাংস দিয়া কিমা বানাইয়া মানুষেরে আল্লাহর রস্তে বিরানি পাকাইয়া খাওয়ামু খানকির বাচ্চা বিদেশ কয়দিন পালিয়ে থাকবি কোন না কোনদিন তো তোকে দেশে আসতেই হবে , তোর বাবা মারে তোরে পয়দা দিল কেন যাইয়া জিগামু
أقتلك يوما ما إذا لم تستمع لي
Mazid
মৌসুমি 24 Mar 2023
পরিবার ও সমাজ সবার কাছেই ওরা মূল্যহীন, সুন্দর লিখেছেন আপু, বড় অভিমানেই চলে গেলো মিথুন।
Iffan 30 Mar 2023
Allahu Akbar
মাহমুদুল নুরুল 04 Apr 2023
জাহান্নামী শয়তান মেয়ে। এসব লিখা বন্ধ কর
সাদেক সাঈদ 13 May 2023
আমি তোকে খুঁজে বার করব? আমি কিন্তু চাইলেই বের করে ফেলব। থাম তুই নাহলে পস্তাবী